প্রথম অধ্যায়
পবিত্র আত্মা
আমরা জানি যে ঈশ্বর মাত্র একজন, কিন্তু এক ঈশ্বরে তিন ব্যক্তি আছেন। এই অধ্যায়ে আমরা পবিত্র আত্মা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব। পবিত্র আত্মা হলেন পবিত্র ত্রিত্বের তৃতীয় ব্যক্তি। পবিত্র আত্মা পিতা ঈশ্বর ও পুত্র ঈশ্বরের কাছ থেকে এসেছেন। তিনি পিতা ঈশ্বর ও পুত্র ঈশ্বরেরই আত্মা। পবিত্র আত্মা জগতের শুরু থেকেই বিদ্যমান ছিলেন, এখনও আছেন এবং অনন্তকাল থাকবেন। পঞ্চাশত্তমী পর্বে তিনি শিষ্যদের উপর অবতরণ করেছেন ও বিশ্বাসের শিক্ষক হওয়ার জন্য প্রেরিত শিষ্যদের শক্তি দান করেছেন। পবিত্র আত্মা হলেন সহায়ক আত্মা যিনি আমাদের সকলকে পবিত্র রাখেন ও বিশ্বাসকে দৃঢ় ও পরিপত্ত্ব করেন।
পবিত্র আত্মার অবতর
এই অধ্যায় পাঠ শেষে আমরা
পবিত্র ত্রিত্বের তৃতীয় ব্যক্তি পবিত্র আত্মা সম্পর্কে বর্ণনা করতে পারব;
• পঞ্চাশত্তমী দিনে প্রেরিত শিষ্যদের উপর পবিত্র আত্মার অবতরণের ঘটনা বর্ণনা করতে পারব;
পবিত্র আত্মার দান ও দানের ফলগুলো ব্যাখ্যা করতে পারব;
খাঁটি খ্রিষ্টীয় জীবন গঠনে পবিত্র আত্মার দানগুলোর ভূমিকা বর্ণনা করতে পারব;
পবিত্র আত্মার অনুপ্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জীবনযাপন করব।
খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
পাঠ ১ পবিত্র আত্মার অবতরণ
যীশুর পুনরুত্থানের পঞ্চাশ দিন পর প্রেরিত শিষ্যেরা পবিত্র আত্মাকে লাভ করলেন। এই পঞ্চাশ দিন তাঁরা ভয়ে লুকিয়ে ছিলেন। একটি ঘরের মধ্যে তখন তাঁরা একসঙ্গে বাস করতেন। সেখানে তাঁরা একত্রে দিনরাত প্রার্থনা করে কাটিয়েছেন। কেউ বা আবার নিজ নিজ পেশায় ফিরে যাওয়ার চিন্তাভাবনা করছিলেন; কেউ কেউ জাল নিয়ে মাছ ধরতেও গিয়েছিলেন। শিষ্যদের সঙ্গে পুনরুত্থিত যীশু বেশ কয়েকবার দেখা দিয়েছিলেন। প্রথম অবস্থায় তাঁরা যীশুকে চিনতে পারেননি কিন্তু পরে চিনতে পেরেছিলেন । খ্রিষ্টের পুনরুত্থানে তাঁরা বিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলেন। প্রভু যীশু তাঁদের সাহস দিয়ে বলেছিলেন, “তোমরা ভয় পেয়ো না। আমি তোমাদের জন্য এক সহায়ক আত্মাকে পাঠিয়ে দেব, তিনি তোমাদের সব কিছু স্মরণ করিয়ে দেবেন।"
খ্রিষ্টের স্বর্গারোহণের দশ দিন পর, পঞ্চাশত্তমীর দিনে শিষ্যেরা সকলে এক জায়গায় সমবেত রয়েছেন, এমন সময় হঠাৎ আকাশ থেকে শোনা গেল প্রচণ্ড বাতাস বয়ে যাওয়ার মতো একটা শব্দ । যে বাড়িতে তাঁরা বসে ছিলেন, সে বাড়িটি সেই শব্দে ভরে উঠল। তারপর তাঁরা দেখতে পেলেন, অগ্নিজিহ্বার মতো দেখতে কী যেন তাঁদের প্রত্যেকের মাথার উপর নেমে এসে অধিষ্ঠিত হলো। তাঁদের সকলেরই সারা অন্তর জুড়ে তখন বিরাজিত হলেন স্বয়ং পবিত্র আত্মা। তাঁরা নানা বিদেশি ভাষায় কথা বলতে লাগলেন- পবিত্র আত্মা যাঁকে যেমন বাকশক্তি তখন দিচ্ছিলেন, সেই মতোই।
আকাশতলের প্রতিটি দেশের বহু ভক্ত ইহুদি তখন যেরুসালেমে বাস করত। সেই শব্দ শোনা যাওয়ার সাথে সাথেই সেখানে ভিড় জমে গেল। তারা প্রত্যেকে নিজের নিজের ভাষায় শিষ্যদের কথা বলতে শুনে কেমন যেন বিমূঢ় হয়ে গেল। স্তম্ভিত হয়ে, বিস্মিত হয়ে বলতে লাগল ওই যে, যারা কথা বলছে, ওরা সকলে কি গালিলেয়ার লোক নয়? তাহলে আমরা প্রত্যেকে নিজের নিজের মাতৃভাষায় ওদের যে কথা বলতে শুনছি, এটা কী করে সম্ভব হলো? আমাদের মধ্যে পার্থিয়া, মেদিয়া এবং এলামের লোক আছে; আছে মেসোপটেমিয়া, দেয়া আর কাপ্পাদোসিয়ার অধিবাসী এবং পন্তাস ও এশিয়া, ফ্রিজিয়া ও পাফিলিয়া, মিশর এবং লিবিয়ার সাইরিনি অঞ্চলের লোক। তাছাড়া রোমের যেসব লোক এখানে এসে কিছু দিন ধরে রয়েছে ইহুদি ও ইহুদি ধর্মাবলম্বী যারা জন্মসূত্রে বিজাতীয় হয়েও ইহুদী ধর্ম গ্রহণ করেছিল, দুই-ই তারাও আছে এবং ক্রীট দ্বীপ ও আরব দেশের লোকেরাও আছে। অথচ আমরা সকলেই শুনতে পাচ্ছি, ওরা আমাদের নিজের নিজের ভাষায় পরমেশ্বরের মহান কর্মকীর্তি ঘোষণা করছে। তারা সকলেই তখন স্তম্ভিত। কী যে ঘটছে, তা বুঝতে না পেরে, তারা একজন আর একজনকে জিজ্ঞেস করতে লাগল এই ব্যাপারটার মানে কী?' কেউ কেউ আবার বিদ্রূপ করে বলতে লাগল, 'মিঠে মদ খেয়ে ওরা, দেখছি, নেশায় ভরপুর।
পবিত্র আত্মা
কিন্তু পিতর তখন এগারোজন প্রেরিত দূতের সঙ্গে, সেখানে দাঁড়িয়ে সকলকে শুনিয়ে বলে উঠলেন, “শোন, যুদেয়ার মানুষেরা, আর শোন তোমরাও সকলে, যারা এই যেরুসালেমে বাস করে থাক। এই ব্যাপারটা তোমাদের বোঝা চাই আমার কথাগুলো তোমরা মন দিয়েই শোন। তোমরা এদের সম্বন্ধে যা ভাবছ, তা কিন্তু সত্যি নয়; এরা মোটেই মাতাল নয়। এখন তো সবে নয়টা। আসলে সেই ঘটনাই আজ ঘটল, যার কথা প্রবক্তা যোয়েল আগেই জানিয়েছিলেন" (প্রেরিত ২:১-১৬)।
এইভাবে শিষ্যেরা পঞ্চাশত্তমী দিনে পবিত্র আত্মাকে লাভ করলেন। উপস্থিত সকলে তাঁদের ভুল বুঝলেও তারা পবিত্র আত্মার প্রেরণায় শক্তি লাভ করে মানুষের ভুল শোধরাতে পেরেছিলেন। তাদের বোঝাতে পেরেছিলেন যে, শিষ্যেরা মাতাল ছিলেন না বরং পবিত্র আত্মাকে লাভ করেছিলেন। পবিত্র আত্মার শক্তিতে শক্তিমান হয়ে তাঁদের ভয় দূর হয়ে গিয়েছিল। যে পিতর ভয়ে অন্য শিষ্যদের সাথে উপরের ঘরে ছিলেন, সেই পিতর সকলের সামনে দাঁড়িয়ে সাহসের সাথে ভাষণ দিয়েছিলেন। তাঁর ভাষণে তিনি খ্রিষ্টকে অন্যায়ভাবে অভিযুক্ত করার জন্য ইহুদিদের দায়ী করেছিলেন। পিতর এই সাহস পেয়েছেন পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের কাছ থেকে। কারণ তিনি সত্যময় আত্মা। সত্যকে প্রচার ও প্রকাশ করার জন্য তিনি সাধু পিতরকে প্রেরণা দিয়েছেন। সাধু পিতরের স্পষ্টভাবে সত্য কথা প্রচারের ফলে সেদিন বহু মানুষ দীক্ষাস্নান গ্রহণ করে পবিত্র আত্মাকে লাভ করেছিলেন।
কাজ : শিষ্যদের উপর পবিত্র আত্মা নেমে আসার পর তাদের মধ্যে যেসব পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল সেগুলো তালিকাবদ্ধ কর।
পাঠ ২ পবিত্র আত্মার প্রেরণা
আমাদের মধ্যে যারা দীক্ষাস্নান, খ্রিষ্টপ্রসাদ ও হস্তার্পণ সাক্রামেন্ত গ্রহণ করেছে, তারা জানে, এই সাক্রামেন্তগুলো কত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলোর মধ্য দিয়ে আমরা পবিত্র আত্মাকে নতুন করে লাভ করেছি। আমরা পবিত্র আত্মার শক্তিতে শক্তিশালী হয়ে উঠেছি। এই পবিত্র আত্মা সম্পর্কে আমরা এই অধ্যায়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করব।
দীক্ষায়ানে আমরা দীক্ষাদাতার দ্বারা ক্রুশের চিহ্নে চিহ্নিত হয়েছি। তাছাড়া আমরা প্রার্থনা বা কাজের শুরুতে ও শেষে নিজেদেরকে ক্রুশের চিহ্নে চিহ্নিত করি। আমরা স্মরণ করি পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মাকে। ক্রুশের চিহ্নের মধ্য দিয়ে আমরা পবিত্র ত্রিত্বের রহস্যকে স্মরণ করি। পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মা মিলে যে এক ঈশ্বর, তাই হলো ত্রিত্বের রহস্য। এই রহস্যটি এমন একটি বিষয় যা আমরা সম্পূর্ণ বুঝতে পারি না। যেটুকু বুঝতে পারি তা সম্ভব হয় গভীর বিশ্বাস, প্রার্থনা ও ভালোবাসার মাধ্যমে। কারণ পরমেশ্বর যে প্রেমস্বরূপ। এই ভালোবাসা পিতা ঈশ্বর সৃষ্টিকাজে, পুত্র ঈশ্বর পরিত্রাণকাজে এবং পবিত্র আত্মা ঈশ্বর প্রেরণা ও সহায়তা দিয়ে প্রকাশ করেছেন।
খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
“প্রেরণা” শব্দটি পবিত্র আত্মার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। আভিধানিক অর্থে প্রেরণা হলো উৎসাহ, প্রবল উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা, প্রবৃত্তি বা বিশেষ কোনো কর্মসম্পাদনের জন্য মানুষের অন্তরের শক্তি। খ্রিষ্টধর্মে এই প্রেরণা হলো ঐশ বা দৈব শক্তি। এই শক্তি বা প্রেরণার উৎস হলেন স্বয়ং ঈশ্বর। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ও মহান সৃষ্টিকর্তা। তিনি সকল শক্তি ও ক্ষমতার উৎস। তিনি এই বিশ্বজগতের প্রভু সৃষ্টি থেকেই তিনি মানব মুক্তির মহাপরিকল্পনা করে রেখেছেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি পুত্র ঈশ্বর ও পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের কাছে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। এই প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, মানুষ যেন আত্মার মাধ্যমে শক্তি ও পুত্রের মাধ্যমে মুক্তি লাভ করতে পারে। সাধু ইরেনিয়াস বলেন, “দীক্ষায়ান আমাদেরকে পুত্রের মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মার দ্বারা পিতা ঈশ্বরে নবজন্ম লাভের কৃপা দান করে। কারণ যারা ঈশ্বরের আত্মাকে লাভ করে তারা বাণী অর্থাৎ পুত্রের দিকে চালিত হয় এবং পুত্র তাদেরকে পিতার কাছে নিবেদন করেন, আর পিতা তাদের দান করেন অনশ্বরতা। আর পবিত্র আত্মার মাধ্যম ব্যতীত পুত্রকে দেখা অসম্ভব এবং পুত্রকে ছাড়া কেউই
পিতার নিকট যেতে পারে না। কারণ পুত্র হচ্ছেন পিতা-সম্পর্কিত জ্ঞান এবং ঈশ্বর-পুত্রের বিষয়ে
জ্ঞান লাভ করা যায় পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে।"
সাধু পল বলেন, পবিত্র আত্মার প্রেরণা ছাড়া কেউ বলতে পারে না যীশু 'প্রভু'(১ করি ১২:৩)। পবিত্র আত্মাই অন্তরে শক্তি বা প্রেরণা যোগান ঈশ্বরকে জানতে ও বিশ্বাসে দৃঢ় হতে মানুষের অন্তরে এই পবিত্র আত্মাকে দান করেন স্বয়ং ঈশ্বর। দুর্বল চিত্তের মানুষ যেন ঈশ্বরের পানে ধাবিত হতে পারে তার প্রেরণা বা শক্তি পবিত্র আত্মাই যুগিয়ে দেন। তিনি মানুষের বিশ্বাসকে দৃঢ় করেন। তাই পবিত্র আত্মার সাথে মানুষের সম্পর্ক রাখতে হয়। এর মধ্য দিয়ে পুত্র ও পিতার কাছে যাওয়া যায়। কারণ পবিত্র আত্মার উৎপত্তি পিতার নিকট থেকে আর তার প্রকাশ পুত্রের মাধ্যমে। তাই পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে আমরা পিতা ও পুত্রের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি, বিশ্বাসে দৃঢ় হতে পারি এবং ত্রিত্ব ঈশ্বরের এই বিশ্বাসের রহস্যে আমরা বেড়েও উঠতে পারি
খ্রিষ্টমণ্ডলীতে আমরা প্রথমে দীক্ষাস্নান সংস্কারের মাধ্যমে পবিত্র আত্মাকে লাভ করি। আদিপাপের
কলুষতা থেকে মুক্ত হই, জীবন পাই, ঐশ কৃপা বা প্রসাদ পাই, বিশ্বাস গ্রহণ করি এবং ঈশ্বর সন্তান হিসেবে পরিচয় লাভ করি। এভাবে আমরা পবিত্র আত্মায় নবজন্ম লাভ করি। হস্তার্পণ সংস্কারের মাধ্যমে পবিত্র আত্মাকে পূর্ণাঙ্গভাবে লাভ করি। ফলে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে আমরা খ্রিষ্ট সম্বন্ধে জানতে পারি পবিত্র আত্মাই আমাদের অন্তরে সেই আলো জ্বালিয়ে দেন যেন আমরা খ্রিষ্টকে জানতে পারি ও বিশ্বাসে দৃঢ় হতে পারি ।
বিশ্বাস মন্ত্রে আমরা স্বীকার করি যে আমরা 'পবিত্র আত্মায় বিশ্বাস করি। তার অর্থ হলো আমরা
পবিত্র আত্মাকে এক ঈশ্বরের তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বাস করি। তিনি পিতা ও পুত্রের আত্মা এবং খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
“প্রেরণা” শব্দটি পবিত্র আত্মার সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। আভিধানিক অর্থে প্রেরণা হলো উৎসাহ, প্রবল উচ্ছ্বাস, উদ্দীপনা, প্রবৃত্তি বা বিশেষ কোনো কর্মসম্পাদনের জন্য মানুষের অন্তরের শক্তি। খ্রিষ্টধর্মে এই প্রেরণা হলো ঐশ বা দৈব শক্তি। এই শক্তি বা প্রেরণার উৎস হলেন স্বয়ং ঈশ্বর। ঈশ্বর সর্বশক্তিমান ও মহান সৃষ্টিকর্তা। তিনি সকল শক্তি ও ক্ষমতার উৎস। তিনি এই বিশ্বজগতের প্রভু সৃষ্টি থেকেই তিনি মানব মুক্তির মহাপরিকল্পনা করে রেখেছেন। এর ধারাবাহিকতায় তিনি পুত্র ঈশ্বর ও পবিত্র আত্মা ঈশ্বরের মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে মানুষের কাছে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। এই প্রকাশের উদ্দেশ্য হলো, মানুষ যেন আত্মার মাধ্যমে শক্তি ও পুত্রের মাধ্যমে মুক্তি লাভ করতে পারে। সাধু ইরেনিয়াস বলেন, “দীক্ষায়ান আমাদেরকে পুত্রের মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মার দ্বারা পিতা ঈশ্বরে নবজন্ম লাভের কৃপা দান করে। কারণ যারা ঈশ্বরের আত্মাকে লাভ করে তারা বাণী অর্থাৎ পুত্রের দিকে চালিত হয় এবং পুত্র তাদেরকে পিতার কাছে নিবেদন করেন, আর পিতা তাদের দান করেন অনশ্বরতা। আর পবিত্র আত্মার মাধ্যম ব্যতীত পুত্রকে দেখা অসম্ভব এবং পুত্রকে ছাড়া কেউই
পিতার নিকট যেতে পারে না। কারণ পুত্র হচ্ছেন পিতা-সম্পর্কিত জ্ঞান এবং ঈশ্বর-পুত্রের বিষয়ে
জ্ঞান লাভ করা যায় পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে।"
সাধু পল বলেন, পবিত্র আত্মার প্রেরণা ছাড়া কেউ বলতে পারে না যীশু 'প্রভু'(১ করি ১২:৩)। পবিত্র আত্মাই অন্তরে শক্তি বা প্রেরণা যোগান ঈশ্বরকে জানতে ও বিশ্বাসে দৃঢ় হতে মানুষের অন্তরে এই পবিত্র আত্মাকে দান করেন স্বয়ং ঈশ্বর। দুর্বল চিত্তের মানুষ যেন ঈশ্বরের পানে ধাবিত হতে পারে তার প্রেরণা বা শক্তি পবিত্র আত্মাই যুগিয়ে দেন। তিনি মানুষের বিশ্বাসকে দৃঢ় করেন। তাই পবিত্র আত্মার সাথে মানুষের সম্পর্ক রাখতে হয়। এর মধ্য দিয়ে পুত্র ও পিতার কাছে যাওয়া যায়। কারণ পবিত্র আত্মার উৎপত্তি পিতার নিকট থেকে আর তার প্রকাশ পুত্রের মাধ্যমে। তাই পবিত্র আত্মার মধ্য দিয়ে আমরা পিতা ও পুত্রের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি, বিশ্বাসে দৃঢ় হতে পারি এবং ত্রিত্ব ঈশ্বরের এই বিশ্বাসের রহস্যে আমরা বেড়েও উঠতে পারি
খ্রিষ্টমণ্ডলীতে আমরা প্রথমে দীক্ষাস্নান সংস্কারের মাধ্যমে পবিত্র আত্মাকে লাভ করি। আদিপাপের
কলুষতা থেকে মুক্ত হই, জীবন পাই, ঐশ কৃপা বা প্রসাদ পাই, বিশ্বাস গ্রহণ করি এবং ঈশ্বর সন্তান হিসেবে পরিচয় লাভ করি। এভাবে আমরা পবিত্র আত্মায় নবজন্ম লাভ করি। হস্তার্পণ সংস্কারের মাধ্যমে পবিত্র আত্মাকে পূর্ণাঙ্গভাবে লাভ করি। ফলে পবিত্র আত্মায় পূর্ণ হয়ে আমরা খ্রিষ্ট সম্বন্ধে জানতে পারি পবিত্র আত্মাই আমাদের অন্তরে সেই আলো জ্বালিয়ে দেন যেন আমরা খ্রিষ্টকে জানতে পারি ও বিশ্বাসে দৃঢ় হতে পারি ।
বিশ্বাস মন্ত্রে আমরা স্বীকার করি যে আমরা 'পবিত্র আত্মায় বিশ্বাস করি। তার অর্থ হলো আমরা
পবিত্র আত্মাকে এক ঈশ্বরের তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে বিশ্বাস করি। তিনি পিতা ও পুত্রের আত্মা এবং পবিত্র আষা
আদি থেকেই বিদ্যমান। তিনি পিতা ও পুত্রের সাথে সমভাবে পুজিত ও গৌরবান্বিত। মানবজাতির যুক্তি পরিকল্পনায় তিনি পূর্ব থেকেই পিতা ও পুত্রের সাথে সক্রিয়।
শিষ্যদের উপর অবতরণের মধ্য দিয়ে তিনি একজন ব্যক্তি হিসেবে মণ্ডলীতে উপস্থিত। তিনি সর্বদা আমাদের প্রেরণা দিয়ে যাচ্ছেন যেন আমরা সত্য পথে পরিচালিত হতে পারি পবিত্র আত্মার দেওয়া প্রেরণাতেই আমরা ঈশ্বরকে পিতা বলে ডাকতে এবং যীশুকে মুক্তিদাতা বলে স্বীকার করতে পারি। খ্রিষ্টীয় বিশ্বাসে জীবন যাপন করতে পবিত্র আত্মাই আমাদের জন্য শক্তি ও সাহস যোগান। তিনিই আমাদের জীবনের দুঃখ-কষ্ট, বিপদ- আপদ ও পরীক্ষা প্রলোভনে বিশ্বাসে অটল থাকার শক্তি দেন। তিনিই আমাদের মাঝে বিচ্ছেন-বিভেদের স্থলে একতা, শান্তি ও ন্যায্যতা স্থাপন করেন।
পাঠ ৩ : পবিত্র আত্মার দান ও ফল
ঈশ্বর আমাদের বিভিন্ন জনকে ভিন্ন ভিন্ন দান বা শক্তি দিয়েছেন। তাঁর এই দান দ্বারা আমরা নিজেদের বুঝতে পারি ও সঠিকভাবে পরিচালিত করতে পারি। তাঁর এই দানে আমরা আধ্যাত্মিকভাবে বৃদ্ধি পাই, মানবিকভাবে গঠিত হই, মণ্ডলী ও সমাজে পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত হই এবং ঈশ্বরের মনোনীত বা আপনজন হয়ে উঠি ।
অনুরূপভাবে পরস্পরের মঙ্গল সাধনের জন্য ঈশ্বর আমাদের বিভিন্ন সেবাকাজ করার ক্ষমতা দিয়েছেন। যেমন মঙ্গলবাণী ঘোষণা করা, রোগীদের সুস্থ করা, পাপীদের সৎপথে ফিরিয়ে আনা এবং এরকম আরও বিভিন্ন কাজ। এসব সেবাকাজের মাধ্যমে আমরা ঈশ্বরের সাথে আধ্যাত্মিকভাবে যুক্ত থাকি। তাছাড়া আমরা একে অপরের সাথে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকি এবং ভালোবাসা ও সেবার মানুষ হয়ে উঠি। এগুলো সবই মানুষের অন্তরে দান করেন। পবিত্র আত্মা। এক একজনের অন্তরে এক একভাবে পবিত্র আত্মা নিজেকে প্রকাশ করে থাকেন।
পনির আত্মার বারোটি ফল
খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
সাধু পল বলেন, “নানা দিব্য দান আছে, তবে যিনি তা দিয়ে থাকেন সেই পবিত্র আত্মা কিন্তু এক। নানা সেবাকর্মও আছে, তবে যাঁকে সেবা করা হয় সেই প্রভু কিন্তু এক। নানা কর্মক্রিয়াও আছে, তবে সকলের অন্তরে সব-কিছুই যিনি করে থাকেন, সেই পরমেশ্বর কিন্তু এক। ঐশ আত্মাকে প্রকাশ করার ক্ষমতা প্রত্যেককে দেওয়া হয় সকলেরই মঙ্গলের জন্যে। একজনকে পবিত্র আত্মা দান করেন প্রজ্ঞার ভাষা, আর একজনকে সেই পবিত্র আত্মাই দান করেন ধর্মজ্ঞানের ভাষা; অন্য একজনকে দান করেন পরম বিশ্বাস কাউকে আবার সেই একই আত্মা দান করেন রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা, কাউকে নানা অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতা, কাউকে প্রাবক্তিক বাণী ঘোষণা করার ক্ষমতা, কাউকে নানা আত্মিক শক্তির স্বরূপ বিচার করার ক্ষমতা, কাউকে নানা অজ্ঞাত ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা এবং অন্য কাউকে আবার সেই সব ভাষা বুঝিয়ে দেবার ক্ষমতা। কিন্তু এই সমস্তকিছুই সেই এক ও অদ্বিতীয় আত্মারই কাজ; তাঁর আপন ইচ্ছামতো তিনি এক একজনকে এক এক বিশেষ শক্তি দিয়ে থাকেন।
“তুলনা করে বলা যেতে পারে; আমাদের দেহ এক, অথচ তার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অনেক। দেহের অঙ্গগুলো অনেক হয়েও সব কয়েকটি মিলে এক দেহ-ই হয়। খ্রিষ্টও ঠিক তেমনি। কারণ একই পবিত্র আত্মার শক্তিতে আমরা সকলেই দীক্ষাস্নাত হয়ে একই দেহের অঙ্গ হয়ে উঠেছি- তা আমরা ইহুদি বা অনিচ্ছদি, ক্রীতদাস বা স্বাধীন মানুষ, যা-ই হই না কেন; এবং সেই একই আত্মার উৎস থেকে আমাদের সকলকেই পান করতে দেওয়া হয়েছে। দেহ কেবলমাত্র একটি অঙ্গ নিয়ে নয়, অনেক অঙ্গ নিয়েই গঠিত” (১ করি ১২:৪-১৪)।
একই পত্রে সাধু পল আরও বলেন, “এখন, তোমরা সবাই মিলে খ্রিষ্টেরই দেহ: তোমরা এক একজন সেই দেহের এক একটি অঙ্গ। পরমেশ্বর মণ্ডলীতে যাঁদের বিশেষ পদে বসিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে প্রথমে আছেন প্রেরিত দূতেরা, তারপর প্রবক্তারা, তারপর শিক্ষাগুরুরা, তারপর রয়েছেন তাঁরাই যাঁদের তিনি দিয়েছেন নানা অলৌকিক কাজ করার ক্ষমতা বা রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা, কিংবা পরকে সাহায্য করার বিশেষ গুণ বা তাদের পরিচালনা করার বিশেষ ক্ষমতা, অথবা নানা অজ্ঞাত ভাষায় কথা বলার ক্ষমতা” (১ করি ১২:২৭-২৮)।
পবিত্র ত্রিত্বের তৃতীয় ব্যক্তি পবিত্র আত্মা হলেন মানুষের নিকট পিতা ও পুত্রের দান। তাঁকে ঈশ্বরের প্ৰাণবায়ুও বলা হয় এই পবিত্র আত্মাকে লাভ করেই প্রেরিত শিষ্যেরা নতুন জীবন পেয়েছিল, তাদের সমস্ত ভয় ভীতি দূর হয়েছিল। ফলে তারা সাহসের সঙ্গে পুনরুত্থিত খ্রিষ্টের সাক্ষ্য বহন করেছিলেন। পবিত্র আত্মার সাতটি দান বাইবেলে বর্ণিত হয়েছে। এই দানগুলোকে সাতটি নামে উল্লেখ করা যায়।
পবিত্র আত্মার সাতটি দান
(১) প্রজ্ঞা (২) বুদ্ধি (৩) বিবেক ( ৪ ) মনোবল (৫) জ্ঞান ( ৬) ধর্মানুরাগ ও (৭) ঈশ্বর-ভীতি। গালাতীয়দের কাছে পত্রে সাধু পল বলেন, “কিন্তু পবিত্র আত্মা যে-ফসল ফলিয়ে তোলেন, তা হলো:
পবিত্র আত্মা
ভালোবাসা, আনন্দ, শান্তি, সহিষ্ণুতা, সহৃদয়তা, মঙ্গলানুভবতা, বিশ্বস্ততা, কোমলতা আর আত্মসংযম । এমন সব গুণের বিরুদ্ধে কোনো বিধান থাকতেই পারে না।" (গালাতীয় ৫:২২-২৩)।
আমাদের জীবন ও চরিত্রের সমস্ত ভালো কিছু কিংবা সকল সৌন্দর্য, আমাদের জীবনে যা কিছু খ্রিষ্টময় সবই পবিত্র আত্মার কাজ। এর সবই আমাদের জীবনে পবিত্র আত্মার ফল। তিনি আমাদের প্রেরণা যোগান যেন আমরা বিভিন্ন গুণে গুণান্বিত হতে পারি। ভালোবাসা, আনন্দ ও শান্তিতে পরিপূত হই। সাধু পল গালাতীয়দের কাছে তাঁর কথাগুলোর মধ্য দিয়ে একথাই প্রকাশ করেছেন। রোমীয়দের কাছে পত্রের বিভিন্ন জায়গায় তিনি এই একই ফলের কথা বিভিন্নভাবে উল্লেখ করেছেন। উল্লিখিত ফলগুলো কত সুন্দর, কতই না মধুর। এগুলো কে না চায়! এরূপ ফলে ফলশালী হতেও বা কে না চায়। এ যেন খ্রিষ্টময় হয়ে উঠা, যেন স্বর্গের নাগরিক হয়ে উঠা! আমরা তো এই ফলগুলোর জন্যই প্রত্যাশী। এই ফলগুলো পাই একমাত্র পবিত্র আত্মারই ফলে।
সাধু পিতর বলেন, “তাই তোমাদেরও আপ্রাণ চেষ্টা করে এখন তোমাদের ভগবদবিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে সচ্চরিত্রতা, তেমনি, সচ্চরিত্রতার সঙ্গে সদৃজ্ঞান, সদৃজ্ঞানের সঙ্গে আত্মসংযম, আত্মসংযমের সঙ্গে নিষ্ঠতা, নিষ্ঠতার সঙ্গে ধর্মশীলতা, ধর্মশীলতার সঙ্গে ভ্রাতৃপ্রেম, আর ভ্রাতৃপ্রেমের সঙ্গে সর্বজনে ভালোবাসা।" (২ পিতর ১:৫-৭)।
আমাদের জীবনে চরিত্র গঠনের জন্য আমরা নিজের শক্তিতে কাজ করতে পারি না : যদি না পবিত্র আত্মাকে আমাদের জীবনে কাজ করতে দেই। সাধু পিতর তাঁর পত্রের মাধ্যমে আমাদের আহ্বান জানান আমরা যেন আপ্রাণ চেষ্টা করি এই গুণগুলোকে আমাদের জীবনে ফলশালী করতে। এর জন্য আমাদের সম্পূর্ণ নির্ভর করতে হবে পবিত্র আত্মার কৃপা ও দয়ার উপর। কারণ পবিত্র আত্মাই আমাদের জীবনে প্রেরণা যোগান ধর্মের পথে চলতে। আমাদের জীবনে পবিত্র আত্মার বারোটি ফল আছে ।
(১) ভ্রাতৃপ্রেম (২) আনন্দ (৩) শান্তি (৪) সহিষ্ণুতা (৫) করুণা (৬) সৌজন্য (৭) (৮) মৃদুতা (৯) বিশ্বস্ততা (১০) লজ্জাশীলতা (১১) সংযম ও (১২) বিশুদ্ধতা ।
কাজ : পবিত্র আত্মার দান ও ফলগুলো একে একে মুখস্থ বল ও খাতায় লেখ ।
পাঠ ৪ : পবিত্র আত্মা সহায়ক
মুক্তির ইতিহাসে পবিত্র আত্মার প্রকাশ বিভিন্নভাবে হয়েছে। সৃষ্টির শুরু থেকেই পবিত্র আত্মা পিতার প্রাণবায়ু হিসেবে ছিলেন। এ জগতে ভালোমন্দ বিচার বিশ্লেষণ করার উপায় পবিত্র আত্মাই মানুষকে
ধৈর্য
খ্রিষ্টধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা
দিয়েছেন । বিভিন্ন ঘটনায় প্রবক্তা, বিচারক বা রাজাদের মাধ্যমে পবিত্র আত্মা কথা বলেছেন। পবিত্র আত্মারই প্রভাবে মারীয়া গর্ভবর্তী হয়েছিলেন। দীক্ষাগুরু যোহনের মাধ্যমে পবিত্র আত্মাই মানুষকে মন পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরূপ যা যা ঘটেছে সবস্থানেই পবিত্র আত্মার প্রকাশ ঘটেছে।
পবিত্র আত্মাকে দেখা যায় না। যুক্তিতর্ক দিয়ে পবিত্র আত্মাকে প্রকাশ করা যায় না। কিন্তু পবিত্র আত্মার উপস্থিতি এবং পবিত্র আত্মার কাজ সবই দৃশ্যমান। কারণ তিনি সত্যময় আত্মা পবিত্র আত্মার মাধ্যমে আমরা সত্যকে জানতে পারি
পবিত্র আত্মা বিভিন্ন নামে পরিচিত। প্রভু যীশু পবিত্র আত্মাকে 'সহায়ক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তার অর্থ হলো "যিনি কারও পক্ষে থাকার জন্য আহুত। এ জগত ছেড়ে পিতার কাছে যাবার আগে যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি একজন সহায়ক আত্মাকে প্রেরণ করবেন। তিনি তাদের সাথে সাথে থাকবেন ও তাঁদের পরিচালিত করবেন। যীশুর কথামতো তাই ঘটল। পঞ্চাশত্তমীর দিনে সহায়ক আত্মা শিষ্যদের উপর অবতরণ করলেন। তাঁদের সান্ত্বনা ও শক্তি দিলেন তাই পবিত্র আত্মা হলেন সান্ত্বনাদাতা। আসলে প্রভু যীশু নিজেই প্রথম সান্ত্বনাদাতা। তিনি শিষ্যদের একা থাকতে দিলেন না। তাঁদের ছত্রভঙ্গ হতে দিলেন না। বরং তাঁদেরকে একত্রিত থাকতে সাহায্য করলেন এবং তাঁদের সান্ত্বনা দিলেন।
পবিত্র বাইবেলের বিভিন্ন গ্রন্থে বিশেষভাবে সাধু পল ও পিতরের পত্রাবলিতে পবিত্র আত্মাকে বিভিন্ন নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে যেমন প্রতিশ্রুত আত্মা, খ্রিষ্টের আত্মা, প্রভুর আত্মা এবং ঈশ্বরের আত্মা। প্রভুর আত্মার উপস্থিতি মণ্ডলীতে আমরা বিভিন্নভাবে দেখে থাকি। বিভিন্ন সাক্রামেন্তে আমরা পবিত্র আত্মার উপস্থিতি ও তাঁর কাজ বিশ্বাস করি। বিভিন্ন দ্রব্যাদির মধ্যে যেমন জল, তেল লেপন, আগুন, মেঘ ও আলো; তাছাড়া মুদ্রাঙ্কন, হস্ত, অঙ্গুলি ও কবুতর এগুলোর মধ্যে আমরা পবিত্র আত্মার উপস্থিতি ও কাজ বিশ্বাস করি। এগুলোর মধ্য দিয়ে পবিত্র আত্মার প্রকাশ ও কৃপা নিত্য বর্ষিত হয়। এই পবিত্র আত্মাই আমাদের নিত্য সহায়ক ও সান্ত্বনা যিনি সর্বদা মানুষকে সত্যের পথে পরিচালিত করেন।
কাজ : জোড়ায় জোড়ায় আলাপ করে পবিত্র আত্মাকে সান্ত্বনাদাতা বলার কারণ খুঁজে বের কর
আরও দেখুন...